গোলাম আজমের ইতিহাস :
একজন ভাষা সৈনিক গোলাম আযমবাংলাদেশের রাজনীতির শুরু থেকে এখনপর্যন্ত এক পরিচিত নাম অধ্যাপকগোলাম আযম। জীবনের প্রথমদিকে বাংলাদেশের ভাষা আন্দোলনেরঅন্যতম পথিকৃত হিসেবে স্মরণীয় হলেওশেষ পর্যন্ত আদালতের রায়ে একজনযুদ্ধাপরাধী হিসেবে কারাদণ্ড ভোগকরেছেন।১৯২২ সালের ৭ নভেম্বর(বাংলা ১৩২৯ সালের ৫ই অগ্রহায়ন)সালে ঢাকার লক্ষ্মীবাজারের শাহ সাহেববাড়িতে জন্মগ্রহণ করেন গোলামআযম। তাঁর নানা শাহ সৈয়দ আব্দুলমোনায়েম শাহ সাহেব নামে পরিচিতছিলেন।
গোলাম কবির ও সৈয়দা আশরাফুন্নিসারসন্তান গোলাম আযমের গ্রামেরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবী নগরউপজেলার বিরগাঁও গ্রামে। তবে ঢাকারবড় মগবাজারের কাজী অফিস লেনেরবাড়িতেই দীর্ঘ দিনধরে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন।তাঁর পূর্বপুরুষ শায়খ জাকি (র.)মধ্যপ্রাচ্য থেকে ধর্মপ্রচারেরউদ্দেশে বাংলাদেশে আসেনএবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় বসবাস করেন।ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর ্ণপরিবারে জন্মগ্রহণ করা গোলাম আযমবিরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়লেখাপড়া শুরু করলেওএকটি মাদ্রাসা থেকে অষ্টম শ্রেণী পাসকরেন। পরবর্তীতে ঢাকারসরকারি ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েটকলেজ (বর্তমান কবি নজরুল কলেজ)থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাসকরেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েররাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ ওএমএ পাস করেন।বৃটিশ উপনিবেশেরবিদায়লঘ্নে সংস্কৃতি আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পূর্ব বাংলার জাতীয় জীবনেররাজনৈতিক অভিজ্ঞতায়জড়িয়ে পড়া অধ্যাপক গোলাম আযম১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু'রজিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তখন ভাষা আন্দোলনে অসামান্যঅবদান রাখায় সবার উপরে নিজেরস্থান করে নিয়েছিলেন তিনি।পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা "বাংলা"দাবিতে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকতআলী খানকে দেয়া স্মারকলিপি পাঠকরে ভাষা সৈনিক হিসেবে ইতিহাসেরপাতায় জায়গা করে নেন গোলাম আযম।১৯৫১ সালে রংপুরের কারমাইকেলকলেজে শিক্ষকতা শুরু করার পরথেকে তাবলীগ জামায়াতেরসঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্নমসজিদে গিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতেনগোলাম আযম। ১৯৫৪ সালে সৈয়দআবুল আলা মওদুদী দ্বারা প্রভাবিতহয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিরসংস্পর্শে আসেন।ইসলাম প্রচার, ইসলামী রাজনীতি ওগণতন্ত্র পুনরুদ্ধারআন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনকরা গোলাম আযম ১৯৫৫সালে গ্রেফতার হন। ১৯৬৪সালে আইয়ুব খান মৌলবাদী ধর্মীয়কাজকর্মেরঅভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধঘোষণা করে ও গোলাম আযমদ্বিতীয়বার গ্রেফতার হন। তাকে আটমাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানজামায়াতে ইসলামীর আমীর (সভাপতি)পদে অধিষ্ঠিত হন।১৯৭১ সালের নভেম্বর থেকে গোলামআযম পাকিস্তানে থাকলেও ১৯৭৮সালে বাংলাদেশে ফেরেন। জেনারেলএরশাদের সময় দেশে রাজনৈতিক দৈন্য-দশা দেখা দিলে নির্দলীয় তত্ববধায়কসরকারের রুপরেখা দিয়েছিলেন তিনি।১৯৯১ সালে তাকে বাংলাদেশ জামায়াতইসলামীর আমীরঘোষণা করা হলে দেশে ব্যাপক আন্দোলনদেখা দেয়। তবুও ২০০০ সাল পর্যন্তএই পদে আসীন ছিলেন। রাজনীতিরবাইরে শতাধিক বইও লিখেছেন গোলামআযম।
গোলাম কবির ও সৈয়দা আশরাফুন্নিসারসন্তান গোলাম আযমের গ্রামেরবাড়ি ব্রাহ্মণবাড়ীয়া জেলার নবী নগরউপজেলার বিরগাঁও গ্রামে। তবে ঢাকারবড় মগবাজারের কাজী অফিস লেনেরবাড়িতেই দীর্ঘ দিনধরে তারা স্থায়ীভাবে বসবাস করেছেন।তাঁর পূর্বপুরুষ শায়খ জাকি (র.)মধ্যপ্রাচ্য থেকে ধর্মপ্রচারেরউদ্দেশে বাংলাদেশে আসেনএবং ব্রাহ্মণবাড়ীয়ায় বসবাস করেন।ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর ্ণপরিবারে জন্মগ্রহণ করা গোলাম আযমবিরগাঁও প্রাথমিক বিদ্যালয়লেখাপড়া শুরু করলেওএকটি মাদ্রাসা থেকে অষ্টম শ্রেণী পাসকরেন। পরবর্তীতে ঢাকারসরকারি ইসলামিক ইন্টারমিডিয়েটকলেজ (বর্তমান কবি নজরুল কলেজ)থেকে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক পাসকরেন। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েররাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগ থেকে বিএ ওএমএ পাস করেন।বৃটিশ উপনিবেশেরবিদায়লঘ্নে সংস্কৃতি আন্দোলনের মধ্যদিয়ে পূর্ব বাংলার জাতীয় জীবনেররাজনৈতিক অভিজ্ঞতায়জড়িয়ে পড়া অধ্যাপক গোলাম আযম১৯৪৮ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ বা ডাকসু'রজিএস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।তখন ভাষা আন্দোলনে অসামান্যঅবদান রাখায় সবার উপরে নিজেরস্থান করে নিয়েছিলেন তিনি।পাকিস্তানের রাষ্ট্রভাষা "বাংলা"দাবিতে প্রধানমন্ত্রী লিয়াকতআলী খানকে দেয়া স্মারকলিপি পাঠকরে ভাষা সৈনিক হিসেবে ইতিহাসেরপাতায় জায়গা করে নেন গোলাম আযম।১৯৫১ সালে রংপুরের কারমাইকেলকলেজে শিক্ষকতা শুরু করার পরথেকে তাবলীগ জামায়াতেরসঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে বিভিন্নমসজিদে গিয়ে বক্তব্য তুলে ধরতেনগোলাম আযম। ১৯৫৪ সালে সৈয়দআবুল আলা মওদুদী দ্বারা প্রভাবিতহয়ে জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতিরসংস্পর্শে আসেন।ইসলাম প্রচার, ইসলামী রাজনীতি ওগণতন্ত্র পুনরুদ্ধারআন্দোলনে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা পালনকরা গোলাম আযম ১৯৫৫সালে গ্রেফতার হন। ১৯৬৪সালে আইয়ুব খান মৌলবাদী ধর্মীয়কাজকর্মেরঅভিযোগে জামায়াতে ইসলামীকে নিষিদ্ধঘোষণা করে ও গোলাম আযমদ্বিতীয়বার গ্রেফতার হন। তাকে আটমাস আটক করে রাখা হয়। ১৯৬৯সালে তিনি তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তানজামায়াতে ইসলামীর আমীর (সভাপতি)পদে অধিষ্ঠিত হন।১৯৭১ সালের নভেম্বর থেকে গোলামআযম পাকিস্তানে থাকলেও ১৯৭৮সালে বাংলাদেশে ফেরেন। জেনারেলএরশাদের সময় দেশে রাজনৈতিক দৈন্য-দশা দেখা দিলে নির্দলীয় তত্ববধায়কসরকারের রুপরেখা দিয়েছিলেন তিনি।১৯৯১ সালে তাকে বাংলাদেশ জামায়াতইসলামীর আমীরঘোষণা করা হলে দেশে ব্যাপক আন্দোলনদেখা দেয়। তবুও ২০০০ সাল পর্যন্তএই পদে আসীন ছিলেন। রাজনীতিরবাইরে শতাধিক বইও লিখেছেন গোলামআযম।
No comments:
Post a Comment